৩০ ফুট উঁচু অবকাঠামোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার পেছনে রয়েছে ৭টি পাম গাছ। এই গাছগুলো স্মৃতি বহণ করে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ’র। আর ভাস্কর্যের সামনে নয় ইঞ্চি করে রয়েছে ১৬ টি পিলার। যা ১৬ ডিসেম্বরকে বহন করে। ব্রক্ষপুত্র নদের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা নয় হাজার বর্গফুটের এই চত্বরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করা আরও কিছু স্তম্ভ। বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে। তাই নাম দেয়া হয়েছে ‘জয় বাংলা চত্বর’। দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছর পর ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম সেতু সংলগ্ন এমন চত্বরের দেখা পেল ময়মনসিংহবাসী। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত এই চত্বরটি আজ বুধবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। আর এমন কাজের প্রশংসা করে মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। ভাস্কর শিল্পী অনুপম সরকার জনি জানান, বেদীর দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে তুলে ধরার জন্য চত্বরে ফাইবার আর মার্বেল ডাস্ট দিয়ে ১৭টি শাপলা ফুল নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিকৃতির দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই ভাস্কর শিল্পী আরও জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি যে অবকাঠামোতে বসানো হয়েছে, সেটির ৩০ লাখ শহীদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতিকৃতির ডান প্রান্তে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মরণীয় উক্তি, আর বাম পাশে জীবনী। চত্বরের বাম পাশে রয়েছে সাতটি সিঁড়ি। সিড়ি দিয়ে ৭ মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণ বোঝানো হয়েছে। আর ডান পাশের ছয়টি সিঁড়ি দিয়ে ছয় দফা আন্দোলনকে বোঝানো হয়েছে বলেও জানান অনুপম সরকার জনি। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানাযায়, বর্তমান মেয়রের ইচ্ছাতেই গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে জয় বাংলা চত্বরের কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে তা নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতেই এই চত্বর’, জানান সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। বলেন, এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানতে পারবে মানুষ। ’ জয় বাংলা চত্বর উদ্বোধনকালে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল হক খোকা, সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, প্যানেল মেয়র-১ আসিফ হোসেন ডন, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন কালাম। পরে তারা চত্বরে থাকা আরও পাঁচটি ফলক উম্মোচন করেন। এসময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সগযোগী সংগঠনের নেতৃবৃ›দ্ব উপস্থিত ছিলেন।